নিউজ ডেস্ক: দেশপ্রকাশ,
একসময়কার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি জাকির খানকে র্যাব-১১ এর সদস্যরা রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা হতে ১টি বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে।
নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা পিএসসি এক প্রেস ব্রিফিং জানান, জাকির খানের নামে ৪টি হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে সে এ সব মামলায় জেল খাটেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে আরও দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন। এর পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ এর দেওভোগ এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদকের সমরাজ্য গড়ে তোলেন।
এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পিছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শহরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের পরে তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। এ সময়ে বিভিন্ন মামলায় বিজ্ঞ আদালতে জাকির খান দোষী সাব্যস্থ হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে সাজা প্রদান করেন। এর পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে জাকির খান দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
দীর্ঘদিনের পলাতক এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১১ এর ধারাবাহিক কার্যক্রমের প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন পলাতক র্শীষ সন্ত্রাসী জাকির খান এর বিষয়ে র্যাব-১১ খোঁজ-খবর শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ভোর রাতে (৩ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১১ এর নারায়ণগঞ্জের একটি বিশেষ অভিযানে রাজধানীর ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা হতে ১টি বিদেশী পিস্তলসহ নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সাব্বির হত্যা মামলার অন্যতম আসামী জাকির খানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামী জাকির খানের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন বিশেষ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় আসামী জাকির খানের ১৭ বছরের সাজা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে তার সাজা কমে ৮ বছর হলেও তিনি গ্রেফতার এড়াতে দেশে ও বিদেশে প্রায় ২১ বছর পলাতক ছিলেন। মূলত ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আসামী হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তিনি দীর্ঘ দিন থাইল্যান্ডে আত্মগোপনে ছিলেন এবং সম্প্রতি ভারত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পরিচয় গোপন করে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করছিলেন।
Leave a Reply