বেড়া,(পাবনা) প্রতিনিধি:
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় শিশু সহ দুই নারী আহত হয়েছেন। আহত গৃহবধূ জাহানারা খাতুন (৫৫) কুশিয়ারা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মাস্টারের স্ত্রী ও তার মেয়ে রুকাইয়া পারভীন লতা।
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত জাহানারা খাতুনের ছেলে আবু কায়সার তারেক নয় (৯) জনের নাম উল্লেখ করে বেড়া মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। সূত্রে জানা যায় জাহানারা খাতুনের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী হাবিবুল্লাহ হাবু খাঁ,আব্দুল্লাহ খাঁ,মাজেম খাঁ এর পরিবারের দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর যে ধরে জাহানারা খাতুনের পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ।
এজাহারে উল্লেখ করে, হাবিবুল্লাহ হাবু খাঁ,আব্দুল্লাহ খাঁ,মাজেম খাঁ এর নেতৃত্বে আসামিগণ আমাদের কুশিয়ারা মৌজায় অবস্থিত-৩৩ শতাংশ ভূমিতে আসিয়া চাষকার্য শুরু করে। উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া আমার মা জাহানারা খাতুন (৫৫), বোন রুকাইয়া পারভীন লতা (৩০) ভূমিতে উপস্থিত হইয়া আসামীগনকে এহেন অন্যায় অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধের বাধা নিষেধ করিলে,আসামীগন ক্ষিপ্ত হইয়া আমার মা-বোনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী রাসেলের হুকুমে সকল আসামীগন ক্ষিপ্ত হইয়া তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড,লোহার জি.আই.পাইপ, বাঁশের লাঠি, কাটের বাটাম দিয়া এলোপাথারী মারধোর করিয়া উভয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফোলা,কালশিরা ও বেদনাদায়ক জখম করে। উক্ত মারধোরেরর এক পর্যায়ে হাবিবুল্লাহ হাবু খাঁয়ের হাতে থাকা ট্রাক্টরের হ্যান্ডেলর রড দিয়া আমার মাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার মাথা-মুখ লক্ষ্য করিয়া সজারে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত মুখে ও দাতের পাটিতে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয় এবং ০১টি দাত উপড়াইয়া পড়িয়া যায়। আসামী মাজেমের হাতে থাকা লোহার রড় দিয়া আমার বোনকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার মাথা-মুখ লক্ষ্য করিয়া সজারে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত মুখে ও দাতের পাটিতে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম। নবির হোসেন আমার বোনের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন আসামী আব্দুল্লাহ আমার বোনের কানে থাকা কানের দুল নিয়ে নেয়। এসময় আমার বোনের ছোট শিশু আহত হয়।
মারধোর সহ্য করিতে না পারিয়া সজোরে ডাক চিৎকার করিলে আমি ও আশে পাশে থাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, পাবনায় রেফার্ড করে। আমার মা-বোন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারেক আরো বলেন, এখন পযন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। আসামিগণ আমার পরিবারের উপর এই প্রথম না এর আগেও কয়েকবার হামলা করেছে। বেড়া মডেল থানায় এ বিষয় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ওসি সাহেব আসামিদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলছেন তারা ওসি সাহেব এর কথা ও মানে না। থানা থেকে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার পরও মারধর করা হলো। যেখানে একজন ওসির কথা মানে না তাদের কাছে আমাদের প্রাণের কোনো মূল্য নেই। যে কোনো সময় আমাদের বড় ক্ষতি হতে পারে। আসামিদের এত ক্ষমতার উৎস কোথায়। আমরা বিচার চাই।
এ বিষয় বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply