পাবনার বেড়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়কেন্দ্রে মানুষের দীর্ঘ সারি।
ডাল,চিনি, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা মানুষ। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বাজারমূল্যের চেয়ে কিছুটা কম দামে পাওয়ায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পেতে মরিয়া হয়ে ছুটছেন পাবনার বেড়া উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। এই ভিড়ে পণ্য পেতে নয়–দশ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে এই নিত্যপণ্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকাভুক্ত কার্ডধারী ছাড়াও অন্যানরাও পাচ্ছেন। আবার কার্ডধারীর বাইরে অসংখ্য দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে পণ্যের আশায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের অনেক কে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। এ অবস্থায় পণ্য বিক্রয় এর সময় ভোগান্তি দূর করার দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
টিসিবির পণ্য পেতে প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় থাকায় । কার্ডধারী সহ কার্ডধারীর বাইরেও অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত অনেকে খালি হাতে ফিরে যান। ফিরে যাওয়া এসব মানুষের কেউ কেউ পণ্য না পেয়ে কেঁদে ফেলেন।
৯ মার্চ শনিবার বেড়া পৌরসভার আলহেরা নগরের তাঁত প্রশিক্ষণ উপকেন্দ্র বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। জানা যায় একাধিক ওয়ার্ডের মানুষের মাঝে এক সাথে পণ্য বিক্রয় করা হয়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, একই দিনে একই স্থানে একাধিক ওয়ার্ড ও চার পাঁচ গ্রামের মানুষের মাঝে পণ্য বিক্রয় করা হয়। এজন্য এত ভোগান্তি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা বিক্রয় করা হলে এত ভোগান্তি হতো না।
পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড আমাইকোলা মহল্লার হাসিনা খাতুন (৬০) ১০ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য পাওয়ার পর খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলেন ” সেই যে সকাল ৭ টায় আইছিলাম এখন পাইলাম,বাড়ি যাব একটু পর মাগরিব এর আজান দিবি। বেটারে লাইনে দারা ছিলেম পিছন থেন এত জরে আইসে ধাহা দিলো কোমরে ব্যাথা”
হাসিনা আক্ষেপ–তার সাথে আসা আর কয়েকজন এখন ও কিছুই পাইনি। পেলে হয়তো আবার এক সাথে এসেছিলো এক সাথে বাড়ি ফিরত।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, মানুষ কে আর কত দিন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করতে হবে। শুধু কি লাইন এ লাইন রেল লাইন এর চেয়েও মারাত্মক। নিরাপত্তা কর্মীর দমক আর রেল গাড়ীর হন সমান। রেললাইনের নিচে মাথা গেলে বাঁচার উপায় নেই। পণ্য কিনেরা এই লাইন ও একই পড়লে বাঁচার উপয় নেই। আমরা চাই কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়া সাধারণ মানুষ এই পণ্য ক্রয় করুক।
হৃদয় হোসাইন
বেড়া পাবনা।
Leave a Reply