পাবনা প্রতিনিধি:
মাত্র ১২০ টাকা খরচ করলেই পাওয়া যাবে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি। এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের। কোনো ধরনের ঘুষ ও তদবির ছাড়া চাকরিও পাচ্ছেন যোগ্য প্রার্থীরা। কিন্তু বসে নেই প্রতারক চক্রও। এর মধ্যেই চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা!
পাবনায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের লুৎফর রহমান এর ছেলে এস.এম সবুজ। ব্যাংকের চেক, চুক্তিনামা সহ তাকে আটক করা হয়। পেশায় সে ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী।
পাবনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ৮ মার্চ থেকে পাবনা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতারক গ্রুপ চাকুরী প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবক দের ভুল বুঝিয়ে অবৈধভাবে টাকা লেন-দেন,ব্যাংকের চেক প্রদান, চুক্তিনামা সম্পাদন সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে গোয়েন্দা সুত্রে জেলা পুলিশ,পাবনা অবগত হয়েছে । এরই সুত্র ধরে সাঁথিয়া থানার করমজা এলাকা থেকে এস এম সবুজ নামের একজন প্রতারককে অর্থ লেন-দেনের সময় আটক করা হয়। উক্ত প্রতারক জন প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন অভিভাবকদের নিকট থেকে ১৫-২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চুক্তি সম্পাদন করে। এর মধ্যে কয়েকজনের কাছে থেকে অগ্রিম টাকাও নিয়ে নেয়।
আরো জানান,
পাবনা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো: আকবর আলী মুনসী ইতোপূর্বে বহুবার পুলিশ কনস্টবল নিয়োগ সংক্রান্তে বলেছেন। আবারও দ্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই যে, বাংলাদেশ পুলিশে শতভাগ স্বচ্ছতা ও সততার সাথে কনস্টবল নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ করা হয়। এখানে তদবীর, স্বজনপ্রিয়তা, অবৈধ লেন-দেনের কোন সুযোগ নেই। যেসব প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হবেন তারা তাদের নিজ মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়েই হবেন। তাই সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, কেউ যেন এসব প্রতারকের খপ্পড়ে না পরেন। এতে ঐ প্রতারক কে যেমন কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে ঠিক তেমনি কোন ক্যান্ডিডেট বা তার অভিভাবকগণ যদি এসব অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply