হৃদয় হোসাইন-পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার বেড়ায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন পালন।অসহায় এবং মহিলাদের মাঝে শেলাই মেশিন ও চেক বিতরন করা হয়েছে। বেড়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী’র সভাপতিত্বে। এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,মেসবাহ-উল-হক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শায়লা শারমিন ইতি।বেড়া নাগরিক কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সরকার।বেড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক। ইউপি চেয়ারম্যান গন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ৮ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে শহীদ হন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাতেন।
এদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সপরিবারে খুনিচক্রের বুলেটের আঘাতে শহীদ হন।
Leave a Reply