বেড়া(পাবনা) প্রতিনিধি:
ঐতিহাসিক ৭ই জুন,ছয় দফা দিবস। ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা দাবি” পেশ করেন।ছয়দফা কর্মসূচীর ভিত্তি ছিল ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব। পরবর্তীকালে এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার হয়। বাংলাদেশের জন্য এই আন্দোলন এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে একে ম্যাগনা কার্টা বা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদও বলা হয়। ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০এর নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। বি এন পি জামাত ও অন্যান অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে,আওয়ামী শক্তির জানান দিতে। আমিনপুর থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে এক কর্মী সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
সকালে কাজিরহাট ঘাট এলাকা থেকে মটরসাইকেল,মাইক্রোবাস,সিএনজির র্যালী বের হয়ে বেড়া আংশিক আমিনপুর ও সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রদক্ষিন করে। অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরজু বলেন, নিপীড়িত নির্যাতিত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ কে সৃষ্টি করেন। আমি সেই আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।আমার দায়িত্ব আগামী নির্বাচনে এই পাবনা-২ আসনের জনগণকে সজাগ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করে আমাকে দিয়ে এই আসন রক্ষা করা যাবে তিনি আমাকে মনোনয়ন দিবেন।না হলে আমার থেকেও যোগ্য জনপ্রিয় কাউকে যদি নৌকা দেয় আমি তার সাথে নৌকার সাথে আছি।আমৃত্যু আমি আওয়ামীলীগের সাথে থাকবো। অন্য কোনো পথে যাচ্ছি না যাবো না। আওয়ামীলীগের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ,যে কারণে এত দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। এ সময় পাবনা-২ আসনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply