
মোঃ ইমরান হোসাইন, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে পুলিশ সদস্য কর্তৃক চাচাতো ভাইয়ের বউকে হত্যার চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন আহত হালিমা বেগমের মেয়ে সোনিয়া আক্তার।
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্ধা (ভোলা জেলায় কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য )মো. সেলিম বাহাদুর,(৩৫) তার পিতা আলতাফ হোসেন(৫৬) ও স্ত্রী মরিয়ম বেগম (ডায়না)(৩০)মঙ্গলবার সকালে জোরপুর্বক চাচাত ভাই জসিম প্যাদার বাড়ীর সামনে জসিম প্যাদার রোপনকৃত ঘাস জোর পুর্বক গৃহপালিত গরু দিয়ে খাওয়াইতে থাকলে জসিম প্যাদার স্ত্রী হালিমা বেগম বাধা প্রদান করেন।
গরুকে ঘাঁস খাওয়াতে বাঁধা প্রদান করায় হালিমা বেগমকে সেলিম বাহাদুর (৩৫) তার পিতা আলতাফ হোসেন,(৫৬) স্ত্রী মরিয়ম বেগম (ডায়না) (৩০)মারধোর করেন। মারধোরের সময় সেলিম বাহাদুরের হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে হালিমা বেগমের মাথার ডান পাশের উপরি ভাগে কোপ দিয়ে আহত করে চলে যায়।
হালিমা বেগমের স্বজনরা হালিমা বেগমকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাহ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায় হালিমা বেগমের মাথার ডান পাশের উপরিভাগে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিন্থ রয়েছে।
আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হালিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি গরুকে ঘাস খাওয়াতে বাধা দেওয়ায় সেলিম বাহাদুর আমাকে কাচি দিয়া মাথার ডান পাশের উপরিভাগে কাচি দিয়ে কোপ দেয় আর সেলিম বাহাদুরের বউ ডায়না ও তার পিতা আলতাফ হোসেন আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে ঘুষি দিয়ে মারধোর করেছে। তিনি আরো বলেন সেলিম বাহাদুর পুলিশে চাকুরী করায় আমাগো নামে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছেন। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম বাহাদুর তার বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
এঘটনায় হালিমা বেগমের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে মো. সেলিম বাহদুর, মো. আলতাফ হোসেন ও মরিয়ম বেগমকে আসামী করে বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভিকটিমের মেডিকেল সার্টফিকেট তলব করেছেন।
মেডিকেল সার্টফিকেট পাওয়া সাপেক্ষ চুড়ান্ত আদেশ প্রদান করবেন বলে জানান, মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড: আরিফ উল হাসান আরিফ।
Leave a Reply