হৃদয় হোসাইন-প্রতিবেদক:
অসুখ হয়ে স্বাধীন এর পর পর স্বামী মারা গেছে। বয়স্ক বিধবা কোনো ভাতা কার্ড নাই আমার। ওরা আমাকে কোনো কার্ড করে দেয় না। চেয়ারম্যান এটা ভাতা কার্ড করে দিলে আমার উপকার হয়। এসব কথা বলেন সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা স্বামীহারা ৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা তোবিরন। তোবিরন আটিয়াপাড়া মহল্লার শুকুর আলীর স্ত্রী। দই সন্তানের জনক শুকুর আলী মরণ বেদীতে আক্রান্ত হয়ে দেশ স্বাধীনের পরপরই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায় পরকালে। ছেলে ইউসুফ মেয়ে খোদেজা দই সন্তান নিয়ে অভাবের জীবনযাপন করছে বৃদ্ধা তোবিরন। অভাবের সাথে লড়াই করে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে বিবাহ করেন ইউসুফ ও খোদেজা। বিবাহিত জীবন বেশি দিন টিকলো না।গর্ভবতী অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।খোদেজার কোলে জন্ম নেয় মেয়ে সন্তান। নানা বাড়িতে বড় হয়ে বিবাহও হয়েছে সেই মেয়েটির। বর্তমানে খোদেজা তার বৃদ্ধা মা তোবিরন এর সাথে একই বাড়িতে বসবাস করছে। অভাবের সংসারে মা বোনের খবর রাখা কষ্টসাধ্য হয়েছে দিনমজুর ইউসুফ এর। ছেলে মেয়ের বোঝা না হয়ে ভিক্ষা করে মেয়ে কে সাথে নিয়ে জীবনযাপন করছে বৃদ্ধা।স্বামীহারা ৯৫ বছর বয়সী তোবিরন এর আজও জোটেনি একটি বিধবা অথবা বয়স্ক ভাতা কার্ড। সবার জীবনে ঈদ আসলেও তোবিরন এর জীবনে ঈদ খুশির কারণ হয়ে আসে না। এ বিষয় সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:মাসুদ হোসেন বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রেরএকটা কপি নিয়ে আসলে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply