হৃদয় হোসাইন-পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা জেলা বেড়া উপজেলার পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫ জোড়া যমজ শিক্ষার্থী।বেড়া উপজেলায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই সময়ে এত বেশি যমজ ভাই-বোন দেখা যায় না। পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি স্থাপিত হয় ১৯৪৭,নিমার্ণ বর্ষ ১৯৯৬ প্রায় অধশতবর্ষী স্কুলটির নাম ডাক আছে উপজেলা জুড়েই। প্রতি বছর ভালো ফলাফলের সুনামও শোনা যায় স্কুলটির। তবে এবার স্কুলটির নাম ছড়িয়েছে ভিন্ন কারণে। স্কুলটিতে এখন পাঁচ জোড়া যমজ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। প্রথম শ্রেণিতে তিন জোড়া, তৃতীয় শ্রেণিতে এক জোড়া, চর্তুথ শ্রেণিতে এক জোড়া ভাই-বোন রয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে তৌহিদ-তানমিন,এবং লামিয়া-ছামিয়া,ও হাবিবা-হাফসা,তৃতীয় শ্রেণিতে আইরিন-আরিফা,চতুর্থ শ্রেণিতে আয়শা-মরিয়ম পড়াশোনা করেছে। স্থানীয়রা জানান, কয়েকটি শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে ৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন।তারা এক সাথে আসা যাওয়া করে। যমজ এদের পোশাক প্রায় সময় কই থাকে।হঠাৎ দেখে অনেক সময় চেনা যায় না কে বড় কে ছোট। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন এর প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া যমজ পুত্র তৌহিদ-তানমিন এর মধ্যে তৌহিদ বড় হয়ে সরকারি অফিসার হয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করতে চায়। আর তানমিন হতে চায় চিকিৎসক। দিনমুজুরি সোহেল রানার যমজ কন্যা একই ক্লাসের লামিয়া-ছামিয়া দু’জনই ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে চায়। পায়না মহল্লার ইব্রাহিম এর যমজ কন্যা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবা-হাফসা দুইজন মা-বাবার বাধ্য সন্তান হতে চায়। শ্রমিক আরিফ হোসেন এর যমজ কন্যা তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আইরিন-আরিফা এর মধ্যে আরিফা শিক্ষিকা হতে চায়। মোমিন সরদার এর যমজ কন্যা চতুর্থ শ্রেণির মরিয়ম-আয়শার স্বপ্নও আকাশ ছুঁয়া। সহকারী শিক্ষক মোস্তাক হোসেন এবং শিক্ষিকা লতিফা পারভীন বলেন, যমজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস করার আনন্দটাও আলাদা। তবে তাদের শনাক্ত করতে কিছু বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তারা সব সময় এক সঙ্গে বসে। তবে কোনো কিছু নিয়ে বিবাদ হলে তারা আলাদা বসে। এতে আমরা বুঝতে পারি দু’জনের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা মোছা: কামরুন্নাহার বলেন, যমজ এই শিশুদের সঠিক দিকনির্দেশনার মধ্যে রাখতে পারলে তারাও দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। আমরা স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে এক নজরে দেখি। ধনী গরীব সবাই আমাদের কাছে সমান। আমরা চাই আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী মানুষের মতো মানুষ হয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করুক। দেশ ও জনগণের সেবায় বেড়িয়ে পড়ুক।
Leave a Reply