নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ ১০ বছর পর নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে মনোনয়ন দেয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও হাজার হাজার সমর্থথেরা। গত রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ঘোষনার পরই শুরু নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
গতকাল সোমবার সকালে আব্দুল্লাহ আল কায়সারের বাবা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাতের কবর জিয়ারত করে এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। পরে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে নেতাকর্মীরা ফুলেল সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। গত রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নাম ঘোষনা করার পরই সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় আনন্দ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় সোনারগাঁওয়ে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐকভাবে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
এদিকে আব্দুল্লাহ আল কায়সার গত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি ও চার দলীয় ঐক্য জোটের প্রার্থী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমকে ৮২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে তার চাচা সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়া হয়। সেই নির্বাচনে মহাজোটের জন্য জাতীয়পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকাকে এ আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়। সেই নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে ফের এ আসনটি ছেড়ে দেয় মহাজোট।
Leave a Reply