কলাপাড়া প্রতিনিধি:
কলাপাড়ার ধালখালীতে আরপিসিএল নামক একটি বিদ্যুৎ প্লান্ট অবস্থিত। ধুমধামে চলছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর থেকে থেকে প্রতিনিয়ত হচ্ছে চুরি। সিকিউরিটিদের করা নিরাপত্তা থাকলেও রাতের আঁধারে রড, পাইপ, তামা সহ বিভিন্ন লহজাতীয় চুরি করছে এলাকার একটি সঙ্ঘবদ্ধ চোর চক্র । চুরি করা মাল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, সে টাকা দিয়েই হচ্ছে মাদক সেবন ও কেনা বেচা।
মরিচ বুনিয়া গ্রামের স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৩:৩০ মিনিটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দেয়াল টপকে মরিচ বুনিয়া এলাকার কালাম খানের ছেলে, সজিব খান(২২) ও মোস্তাফিজ মিয়ার ছেলে, রাজিম (২০) কে চুরি করতে দেখে ফেলেন, মরিচ বুনিয়া পাকার মাথার স্থানীয় হোসেন মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা (২০)। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় ব্যাক্তি আক্তার খানকে জানান সেই রাতেই আক্তার খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন চোরাই মালামাল সরিয়ে ফেলছে সজীব ও রাজিম। উক্ত স্থানেই দেখা মেলে সজীব রাজিমের চুরি করা বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আক্তার খানের সাথে স্বীকার করে। আক্তার খান চুরি করা মালগুলো ফেরত দিতে বল্লেও কোন তোয়াক্কা না করেই তারা চুরির স্থান থেকে শটকে পড়ে চোর চক্রের দুজন।
বুধবার সকালে চুরির বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানতে পারলে সজীব ও রাজিম কে চুরি হওয়া লোহার রড পাইপ ফেরত দিতে বলেন স্থানীয়রা । চোর সজিব ও রাজিম জানান চুরি করা মালামাল গুলো বিক্রি করে ফেলছে। কতটুকু মালামাল ছিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে সজীব জানান ১০০ কেজি মালামাল ছিল যাহা ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। সজীব একই প্রজেক্টের ফেলুডার ড্রাইভার বলে জানা যায়। সজিব দীর্ঘদিন যাবত চুরির সাথে যুক্ত আছে
চুরি করার বিষয় সকলের কাছে প্রকাশ করায় বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১:৩০ মিনিট রায়হানকে রাস্তায় একা পেয়ে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে শুরু করে সজীব ও রাজিম , এক পর্যায়ে হাতের কাছে থাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে রায়হানকে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন রায়হান। তাৎক্ষণিক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ফার্মেসিতে নেয়া হয়, সেখানে অবস্থা খারাপ দেখলে কলাপাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয় রায়হান কে। কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা থাকা অবস্থায় রায়হানের শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে রাত ১২:৩০ মিনিটে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মারামারি বিষয়ে কলাপাড়া থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এবিষয় কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলী আহমেদ জানান, অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে, প্রয়োজনীয় আইন অনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply