হৃদয় হোসাইন-বেড়া পাবনা:
নিজেরা খাওয়ার জন্য মাছ শিকার করছি। বেশি পাইলে বাজারে বিক্রয় করি। চারটা কন্যা সন্তান,ছেলে সন্তান হয় না বলে ওদের বাবা আরেক টা বিবাহ করছে আমাদের খোঁজ খবর রাখে না। অভাবের সংসার লোকের বাড়িতে কাজ করে। মাছ শিকার করে অসহায় জীবন যাপন করছি এসব কথা বলেন,বেড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড মোহনগঞ্জ এলাকার রহমান আলী সরদার এর মেয়ে আছিয়া খাতুন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকাটা রণক্ষেত্রে টিকে থাকার চেয়েও কঠিন।রবিঠাকুরের এ কথার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় আছিয়ার জীবনে। জীবিকার তাগিদে মানুষ বিচিত্র পথে যাত্রা করে। বিপুলা এই পৃথিবীতে নানা শ্রেণির,নানা পেশার মানুষ বসবাস করে। কেউ বড় বড় দালানের উপরতলায় বসবাস করে, কেউ আবার ফুটপাতে ঘুমায়। জীবিকার তাগিদে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন কাজ বেছে নেয়। তাদের একজন আছিয়া খাতুন। স্বামী ছাড়া চার কন্যা সন্তান এর সংসার চালাতে আছিয়া খাতুন কে বেছে নিতে হয়েছে ভিন্ন এ পেশা। প্রতিদিন যমুনা নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা তার পেশা। প্রথমে সখের বশে মাছ শিকার করলেও এখন এটি তার পেশা। পুরুষ এর পাশে বসে পুরুষ মানুষ এর চেয়ে কোনো অংশে কম নেই তার মাছ শিকার। নিরুপায় হয়েই অসহায় জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। সংগ্রামী জীবনের গল্প জানতে চাইলে আছিয়া বলেন,নিজেরা খাওয়ার জন্য মাছ ধরি। বেশি পাইলে বাজারে বিক্রয় করা হয়।শাহজাদপুর উপজেলার বেইনটা গ্রামের মোহাম্মদ এর সাথে বিবাহ হয়েছিল চারটা মেয়ে সন্তান হয়েছে,ছেলে হয় নাই বলে ওদের বাবা আরেক টা বিবাহ করছে।আমাদের খোঁজ খবর রাখে না। নিরুপায় হয়ে নদীতে মাছ শিকার করি।ময়দা আটা দিয়ে বড়শি ফেললে ভালোই মাছ পাওয়া যায়। বিকেলের দিকে বেশি বেশি পাওয়া যায়। যেদিন বেশি পাওয়া যায় সেদিন বাজারে বিক্রয় করি। কিছু টাকা আয় হয় এভাবেই সংসার চলছে। পরের জায়গায় একটা ঘর তুলে বসবাস করছি চার টা মেয়ে নিয়ে।
Leave a Reply