নাজমুল হাসান,মাদারীপুর প্রতিনিধি:
তীব্র তাপদাহে মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক তখনই মাদারীপুর জেলায় প্রচণ্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে সমানতালে বেড়েই চলছে লোডশেডিং।ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গত চার-পাঁচ দিন ধরে যখন তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। শনিবার ও রোববার দিন-রাত মিলে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।বিশেষ করে শনিবার থেকে রাতে প্রচণ্ড গরমের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না পেয়ে মানুষ ঘুমাতে পারেনি।
সারারাত রোজাদাররা ছটফট করেছে।গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ের ফলে রোজাদাররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।দিনে অসহ্য গরমে রোজাদার মানুষেরা হাঁসফাঁস করছেন।
প্রচণ্ড গরমে ভালো নেই এলাকার শিশু ও বয়স্করাও। জ্বর, কাশি, পেটের সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
শনিবার থেকে রাত ও দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিল না বলে গ্রাহকদের দাবি। ইফতারি, তারাবি ও সাহরির অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়াও,এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান পরীক্ষার্থীরা।
অনার্সে পড়ুয়া মারুফ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,আগামী মাসেই ৩য় বর্ষের পরীক্ষা শুরু।এই গরমের কারণে ঘরে থাকাই দ্বায়।বিদ্যুৎ না থাকলে পড়ার টেবিলেই বসা হয় না ঠিকমতো।
গৃ্হস্থালী আয়শা বেগম জানান,লোডশেডিং এর ফলে ফ্রিজে রাখা মাছ,মাংস,তরকারী সহ অন্যান্য পঁচনশীল পণ্য যে কোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ঘোষেরহাট বাজারের স-মিল ও রাইসমিল ব্যবসায়ীরাও বিদ্যুৎবিহীন ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হচ্ছেন বলে আলাপকালে জানান তারা।
উপজেলার পশ্চিম খান্দুলী এলাকার বাসিন্দা মুন্সী আবির হাসান জানান,বিদ্যুৎ তো থাকে না। গরমে ঘুমাতে পারিনি।ইফতার এর আগে আবার কখনো পরে হুট করে বিদ্যুৎ চলে যায় আবার ইচ্ছে হলে আসে।সাহরি খাওয়ার মাঝেও চলে যায় বিদ্যুৎ।রোজাদার মানুষদের নামাজ আদায় করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম জনাব আলী বলেন,জাতীয় গ্রেড থেকে চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন পাওয়ায় গ্রাহক পর্যায়ে লোডশেডিং এর সৃষ্টি হচ্ছে।তবে,এই সমস্যা উত্তোরণে সময় লাগবে আরো কিছুদিন।
Leave a Reply