বেড়া প্রতিনিধি:
কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাপদাহে বেড়ায় হাত পাখার কদর বেড়েছে। আর এই হাত পাখা নিয়ে ভাবতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে যায় কন্ঠ শিল্পী আকবরের বেদানার মেঘ অ্যালবামের সেই জনপ্রিয় গান,”তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রাণ জুরিয়ে আসে কিছু সময় আরও তুমি থাকো আমার পাশে থাকো আমার পাশে”।বৈশাখের শুরুতে অধিকাংশ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ গরমের তাড়নায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। প্রচণ্ড গরমে মাঝে মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিদ্যুতের আশা যাওয়ার লুকোচুরি। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। প্রচণ্ড গরমে প্রশান্তি পরশ দিতে বেড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে বিক্রি করছে বাহারি রকমের হাত পাখা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে,তালের পাখা, সুতায় বুনানো পাখা, বিভিন্ন কাপড়ের তৈরি হাত পাখা। তাছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি পাখাও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে দারিদ্র্যতাকে কাছ থেকে ছুয়ে আবার অনেকে পেশা বদল করে অল্প পূঁজির পাখার ব্যাবসার সাথে যুক্ত হচ্ছেন। তাদের একজন শাহজাদপুর থানাধীন বাড়াবিল গ্রামের ইউসুফ আলী(৫৫) হাত পাখার বিক্রয় করছে ৩৫ বছরেরও বেশি সময়। সংসারের কাজের ফাঁকে তার এ পাখা তৈরির কাজে সাহায্যে করেন পাঁচ সন্তানের জননী স্ত্রী শাহিদা খাতুন(৪০)। ইউসুফ এর কাছে তার পাখা বিক্রয়ের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন,সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমার এই পাখা তৈরির কাজে সাহায্য করে আমার স্ত্রী শাহিদা খাতুন। বড় ছেলে সোহাগ এই ব্যাবসা করে। ছোট ছেলে সোহান ৫ ম শ্রেনীতে পরে। তিন মেয়ে ইয়াসমিন,জিয়াসমিন, বৃষ্টির বিয়ে দিয়েছি। স্থানীয় পাখা তৈরী কারিগর পিস প্রতি মূল্য নিয়ে পাখা তৈরি করে। পিস তৈরিতে কারিগর ৭/৮ টাকা মজুরী পায়।এবং সুতার তৈরি পাখার মজুরী দেয়া পায়১৫-২০ টাকা,আর বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকা।হাত পাখা বিক্রেতা ইউসুফ আরো বলেন,তিনি বাপ-দাদার ব্যবসা ধরে রেখে বিভিন্ন হাট-বাজারে হাত পাখা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন।বসে নেই ইউসুফ এর মতো হাত পাখা তৈরি কারিগররাও। গরম শুরুর প্রথম থেকেই বেড়েছে হাত পাখা কারিগরদের ব্যস্ততা।
হৃদয় হোসাইন
বেড়া,পাবনা
০১৭৫৩১৪৬৫৯২
Leave a Reply