হৃদয় হোসাইন-পাবনা:
১৯৭১সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম হানাদার মুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ আর তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন গৌরবগাঁথা ও গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি।বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরু থেকে বাঙালি জাতির ওপর শুরু হয় বৈষম্য,শোষণ,অত্যাচার নির্যাতন।পাকিস্তানের এই শোষণ বঞ্জনা আর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি সোচ্চার হতে থাকে এবং ধাপে ধাপে পাকিস্তানের অত্যাচরের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠতে থাকে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়।১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে(তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান)হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে,সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-বেড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল রাইসুল ইসলাম তারেক।তারেক বলেন আমরা যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজ পতাকার একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবো না।আর এই বিজয়ের মাসে বিএনপি জামাত বেড়ায় যদি কোন সহিংস ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে।আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি বিএনপি জামাত কে প্রতিহত করতে।জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুর হক টুকু এমপি সাহেব এর নির্দেশে।পৌর মেয়র এ্যাড.আসিফ শামস্ রঞ্জন এর নেতৃত্বে রাজ পথে আছি।
Leave a Reply