হৃদয় হোসাইন-পাবনা:
পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায় গণ কবর বা গণ হত্যার স্থান (বধ্য ভুমি) সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন
বেড়া উপজেলা আমিনপুর থানাধীন মাসুমদিয়া ও রুপপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা গণ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।এনামুল হক এর গণহত্যা ১৯৭১ বই ও অত্র এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য থেকে জানা যায়,১৯৭১ সালের ২৩ শে মে সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটের দিকে রুপপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত চরপাড়া হিজল তলা নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একটি হৃদয় বিদারক গণ হত্যাযজ্ঞ চালায়।এতে চরপাড়া,সন্যাসীবাধা ও দয়রামপুর এলাকার ২০ জন শহীদ হয় এবং ২৫ জন গুলিবিদ্ধ সহ আহত হয়।পরবর্তীতে তাদের কে গণ কবর দেওয়া হয় বলে মুক্তিযোদ্ধা গণ সাংবাদিক দের জানিয়েছেন।সেখানকার হত্যাযজ্ঞ শেষ করে বেলা ১১ টার দিকে তারা হামলা চালায় মাসুমদিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত রুপগঞ্জ এলাকায়।সেখানে তারা নির্বিচারে হত্যা করে রুপগঞ্জ,শিতলপুর, নতুন মীরপুর ও দয়াল নগর এলাকার ৩৫ জন সাধারণ নিরীহ মানুষ।যাদের কে দাফন পর্যন্ত করতে না দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়,শিয়াল- কুকুরে খায় তাদের মরদেহ। রুপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন সেই স্থান টি গণ কবর হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।রুপপুর ও মাসুমদিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্বরুপ ৭১ এর গণকবর (গণ হত্যার স্থান) সংরক্ষণের দাবি জানান রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাহারুল ইসলাম মহন ও মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক (নেতা শহীদ)। তারা উল্লেখ করেন ২৩ মে ১৯৭১ এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার দের সহযোগিতায় চরপাড়া হিজল তলা ও রুপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন স্থানে আনুমানিক ১৪০-১৫০ জন মুক্তিকামী মানুষ কে হত্যা করে।এই এলাকার মানুষ দের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে গণকবর সংরক্ষণের দাবি জানান তারা।সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ যাওয়া গণ হত্যাযজ্ঞে আহত দের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন তারা।
Leave a Reply