1. admin@dailygrambangla.com : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দয়াল নগর বাহারুন্নেসা পাবলিক লাইব্রেরীরতে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্প বেড়ায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আমতলীতে হাওয়া বিবি নাইট শ্যাডো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় রাস্তা নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ডেপুটি স্পিকার ডেমরায় অবৈধ মেলার আয়োজন সাঁথিয়ায় রাস্তা উন্নয়ন ও ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ডেপুটি স্পিকার সোনারগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের নতুন কমিটির অনুমোদন সাঁথিয়া উপজেলার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শ করেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সোনারগাঁয়ে এসিল্যান্ডের গাড়ি চাপায় টাইলস ব্যবসায়ী নিহত, জনগণ যদি সচেতন হয় আমি নির্বাচনে অংশ নিবো-আব্দুল বাতেন

কালকিনিতে উচ্চ বিদ্যালয়ে লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

  • আপডেট : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০০৩ বার পঠিত
নাজমুল হাসান, মাদারীপুর:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিবকে বাইরে রেখে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধি। এদিকে এ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ-বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরবার একটি লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় মনির বেপারী নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়, মাদারীপুর ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২৯ অক্টোবর সকালে মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একজন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, একজন অফিস সহায়ক ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিয়োগ বোর্ডে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তারা হলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী আকন, ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ডিজির প্রতিনিধি সুবল চন্দ্র দাস, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের বাকি ৩ সদস্য মিলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে তারা বেরিয়ে আসেন। পরে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হলেও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিবকে (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) তেমন কোনো ভূমিকায় রাখেননি তারা।
স্থানীয়রা আরও জানান, অফিস সহায়ক পদে সভাপতির আপন ভাইয়ের ছেলে প্রার্থী ছিলেন।তাই গোপন বৈঠকে কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে ভেবে অফিস সহায়ক পদের প্রার্থীরা উপস্থিত থেকেও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ। প্রধান শিক্ষক পদে ৮ জন, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদে ৮ জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৭ জন অংশ নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হিরন শিকদার বলেন, নিয়োগ নিরপেক্ষ করার ইচ্ছা থাকলে কালকিনি উপজেলায় বা স্কুলেই পরীক্ষা হতো মাদারীপুর নিত না।যাকে নিয়োগ দিছে সে তো প্রশ্ন আগেই পাইছে। পরীক্ষা আবার হোক, স্কুলে বসে হোক কোনো আপত্তি নেই। টাকার বিনিময়ে বা স্বজনপ্রীতি যেন না হয়।
অভিযোগকারী মো. মনির বেপারী জানান, সভাপতি সাহেবের বড় ছেলে সরকারি বড় চাকরি করেন। তিনি এলাকায় এসে গোপন বৈঠকে করে সরকারি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে যান। তার বাবা (সভাপতি) ও পরিবার মিলে এ নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বজনপ্রীতি করেছেন। কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে নিয়োগে দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির জামাইয়ের ছোট ভাইকে। সবার কাছ থেকেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ বাতিলের জন্য সব দপ্তরে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়ে আবেদন করেছি। সরকার এসব বিষয় দেখবে বলে আশা করি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক মিয়া বলেন, আমি মূলত সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে প্রার্থী ছিলেন বলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষার আগে অফিস কক্ষ থেকে আমাকে বের করে দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের অন্য তিন সদস্য প্রায় আধা ঘণ্টা গোপন বৈঠক করেন। নিয়োগ কার্যক্রমে আমার তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। সভাপতি, শিক্ষা অফিসার ও ডিজির প্রতিনিধি যে রেজাল্ট শিট তৈরি করে দিয়েছেন সেখানে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে। আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি। বাকি কিছু জানি না।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী আকন বলেন, নিয়োগ ঠিকঠাক মতো হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে বলেন এলাকার সবাই আত্মীয়। কোনো টাকার-পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।যারা অভিযোগ করেছে তারা তাদের স্বার্থে করেছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবর রহমান জানান, সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত একটি কথা ছিল তাই হেড মাস্টারকে বাইরে যেতে বলছিলেন তিনি। আগে বা পরেও তো কথা বলতে পারতেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। মাহাবুবর রহমান জানান,নিয়োগ কার্যক্রম যা যাচাই বাছাই সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানেন। ডিজির প্রতিনিধি ও ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র দাস বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে নিয়োগ কার্যক্রম সঠিক হয়েছে বলে মনে
করেন তিনি।
ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র দাস ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে করতে বলেন। নিয়োগ কার্যক্রম সঠিক করেছি। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,তিনি বাড়িতে আছেন। সরাসরি দেখা করলে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিকিন্তু এরসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্তকর্তা জড়িত।সেজন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দেশ প্রকাশ ©
Theme Customized By Shakil IT Park