হৃদয় হোসাইন, বেড়া প্রতিনিধি:
পাবনার নদী-নালা খাল-বিল হাওর ছেয়ে গেছে চায়না দুয়ারী জালে।বর্ষা মৌসুমে মাছ আহরণ করতে উত্তর অঞ্চলের জেলেরা নতুন এক ধরনের জাল ব্যবহার করছেন,যা চায়না দুয়ারী বা ট্রেন জাল নামে পরিচিত।এতে একবার প্রবেশ করলে মাছের ডিম থেকে পোনা কিছুই বের হতে পারে না।শুধু মাছ নয়,জলজ প্রাণী শামুক,ঝিনুক,সাপ,ব্যাঙ সহ প্রায় সবই আটকা পড়ে এ জালে।যখন ডাঙায় শুকাতে দেওয়া হয়,তখন জালে লেগে থাকা মাছ খেতে এসে আটকা পড়ে পাখিরাও।সহজে বহনযোগ্য,জাল ফেলতে কষ্ট কম বেশি পরিমাণে মাছ একই সঙ্গে আহরণ করা যায় বলে এ জাল দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।এতে করে হুমকির মুখে মৎস্য জগৎ।চায়না দুয়ারী জাল দিনের পর দিন পানিতে রেখে দেয়া যায়।এই জালের সুতা প্লাষ্টিকের তৈরি হওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না।জেলেদের ধারণা এই জাল চায়না থেকে আমদানি করা হয় এবং মাছ প্রবেশ করার জন্য একাধিক দুয়ারী থাকায় নাম হয়েছে চায়না দুয়ারী।আবার অনেকটা লম্বা হওয়ায় অনেকে একে ট্রেন জালও বলে থাকেন।বাংলাদেশে প্রচালিত কোনো মৎস্য আইন ও বিধিমালায় সরাসরি চায়না দুয়ারী জাল নিষিদ্ধ করা হয়নি।তবে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালায় সাড়ে চার সেন্টিমাটার বা তার থেকে কম দৈর্ঘ্যের ফাঁসবিশিষ্ট জাল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।এই জালের প্রতি গিঁটের ফাঁসের দূরত্ব এক সেন্টিমিটারেরও কম।সাম্প্রতিক দেখা যায় যে নদী-খালের তুলনায় বিলগুলোতে এই জাল বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।বতর্মানে পাবনা জেলার চাটমোহর চলনবিল,উল্লেখ্য সুজানগর খয়রানবিল,বেড়া,সাঁথিয়া,ভাঙ্গুরা,ফরিদপুর,আটঘরিয়া,ঈশ্বরদী উপজেলার প্রায় সকল নদী,খালও বিলের পানিতে এই জাল দিয়ে মাছ আহরণ চলছে।রহিম নামের এক জেলে বলেন,এই জাল বিকেলে বিলে ফেলে সকালে ওঠানো হয়।রাতে আর কষ্ট করা লাগে না।আগে খেওলা জাল নিয়ে সারা রাত কষ্ট করে ৫০০ টাকার মাছও পেতাম না।এখন চায়না দুয়ারী জালে ৫০০ টাকা থেকে ২থেকে ৩ হাজার টাকার মাছ পাই।ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের মাছ পেয়ে থাকি।শুধু কার্ডদারি জেলে না,অনেকে শখের বসেও এ জাল দিয়ে মাছ আহরণ করছে।সেসব এলাকা চিহ্নিত করে বেশি অভিযান চালানো জরুরি।লাগাম হীন ভাবে এ জাল দিয়ে মাছ আহরণ চলমান থাকলে দেশী মাছের সংকট দেখা দিবে।এ বিষয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন,বিষয় টা তো আর আমার একার না।এবিষয় শশ উপজেলার মৎস্য অফিসারের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply