নিজস্ব প্রতিবেদক:-
পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। ব্যস্ততার জীবনে একটু প্রশান্তি পেতে তারা ছুটে যাচ্ছেন পাহাড়ে। কেউ এসেছেন বিশেষ দিন উদযাপন করতে, কেউ প্রকৃতি দেখতে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে। প্রতিদিনই আগমন ঘটছে হাজারও পর্যটকের। বান্দরবান সদরে প্রবেশ পথে রেইছা যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্টে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকদের আর্মি-পুলিশের চেকের মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের আচারণের কারনে পর্যটকদের সাথে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়।
পুলিশের কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যের উগ্র আচরণ নিরাপত্তার বদলে মানুষকে আরও নিরাপত্তাহীন করে তুলছে। মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তে অস্বাভাবিক আচরণ করা হচ্ছে। এই অবস্থায় মানবিক মূল্যবোধসহ মানুষের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে সেটা নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের নের্তৃত্বে বান্দরবান পুলিশ লাইনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল।
কর্মশালার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, টুরিস্টরা প্রবেশের শুরুতেই যাতে ভাল ব্যবহার পায় তা কর্মশালার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন আনা হচ্ছে। থানা থেকে শুরু করে পুলিশ লাইন, পুলিশ ক্যাম্প, বিভাগ সবখানেই কাউন্সিলিং চলছে। দিনের শুরুতে পুলিশ সদস্যদের হাজিরা নেওয়ার সময় সবাইকে একসঙ্গে করে সিনিয়র অফিসাররা এই কাউন্সিলিং করছেন। কাউন্সিলিংয়ে পুলিশ সদস্যদের কী বলা হচ্ছে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, আগত ট্যুরিস্টদের কোনও তল্লাশি চালাতে হলে কী নিয়ম মানতে হবে, কী ধরণের আচরণ করতে হবে তা জানানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে যেনো সম্মান দেওয়া হয়,তাদের প্রতি যেনো ভদ্র আচরণ করা হয় সেগুলো তাদের বলা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা হওয়ার আশঙ্কায় এই কাউন্সিলিং কর্মশালার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হচ্ছে, এনআইডি তল্লাশির সময় নাগরিকদের যেনো ‘স্যার’ সম্বোধন করা হয়। এছাড়া, সাধারণ মানুষের অনুমতি নিয়েই আইন অনুযায়ী তল্লাশি করার কথাও পুলিশ সদস্যদের আবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply