1. admin@dailygrambangla.com : admin :
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেড়া পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূল্যে পানি বিতরণ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নজরুলকে দেখতে চায় বেড়াবাসী বেড়া পৌর ক্রীড়া উন্নয়ন সংস্থার উদ্যােগে ১১টি ক্লাবের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দয়াল নগর বাহারুন্নেসা পাবলিক লাইব্রেরীরতে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্প বেড়ায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আমতলীতে হাওয়া বিবি নাইট শ্যাডো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় রাস্তা নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ডেপুটি স্পিকার ডেমরায় অবৈধ মেলার আয়োজন সাঁথিয়ায় রাস্তা উন্নয়ন ও ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ডেপুটি স্পিকার সোনারগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের নতুন কমিটির অনুমোদন

ক্যান্সারে আক্রান্ত সন্তানকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

  • আপডেট : রবিবার, ৮ মে, ২০২২
  • ১৯৫ বার পঠিত

অপু রহমান:

নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব লালপুর এর বাসিন্দা আব্দুল জলিল মিয়া(৫৩) তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে পাঁচজন ছেলে-মেয়ের মধ্যে মোঃ আব্দুল আরাফাত সবার ছোট সন্তান মোঃ আব্দুল আরাফাতের বয়স ৪ বছর ১১ মাস।

আবদুল আরাফাতের ২বছর ৮ মাস বয়সে প্রথমে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতলে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা টিউমার ক্যান্সার বলে রিপোর্ট দেয়,সেই হতে অদ্য পর্যন্ত এ সন্তানটি বিভিন্ন রোগের সমস্যায় জর্জরিত।

আব্দুল জলিল(৫৩) দুই বছর ধরে চোখের সমস্যার কারণে তার সন্তানের চিকিৎসা করছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। ৮ মাস আগে অপারেশনের মাধ্যমে বাম চোখ ফেলে দেওয়া হয়।

এর কারন ডাক্তার বলেছে এই চোখের কারণে ক্যান্সার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে গেছে আরও মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যার কারনে বাচ্চাটির বাম চোখ অপারেশনের মাধ্যমে ফেলে দেওয়া হয়।

অপারেশনের পর থেকে ছেলেটি এখন পর্যন্ত বিছানায়। সে উঠবস করতে পারে না, শুধু হাত দুটো লড়াতে পারে। ধীরে ধীরে তার শরীরের সকল অঙ্গ নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রতিমাসে নিয়মিত কেমো থেরাপি দেওয়া হয় এবং কোভিট -১৯,লিভার,কিউনি, প্রসাব, রক্ত ও চোখের আই ফেইজ ইত্যাদি পরীক্ষা গুলি নিয়মিত করতে হয়।

এছাড়াও দুই মাস পর পর ব্রণ মেরুদন্ড টেস্ট, সিটি স্কিন ও ইসিজি বাধ্যতামূলক করাতে হয়।

বাচ্চাটির চোখের ক্যান্সার চিকিৎসার কারণে শরীরের অন্য অংশ ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ছে,যার ফলশ্রুত ধীরে ধীরে শরীরের কিছু কিছু অঙ্গ গুলি অকেজো হয়ে যাওয়া এই জন্য ডাক্তার বাচ্চাকে এম.আর.আই করার সিদ্ধান্ত নেন।

এমআরআই করার পর ধরা পড়ে বাচ্চাটির বাম পা হতে মাথা পর্যন্ত শরীরের পিছনের অংশ অকেজো যা ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে।এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস হতে বাচ্চাটি অচল ডাক্তারের রিপোর্ট অনুসারে তাঁর শরীরের ৭৫ ভাগ অকেজো হয়ে গেছে।

কোভিড-১৯ পরীক্ষা,লিভার পরীক্ষা,ইউনিট পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, প্রসাব পরীক্ষা চোখের আই পরীক্ষা, ফেইজ পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান পরীক্ষা, ইসিজি এবং প্রতি দুই থেকে তিন মাস অন্তর ভ্রুণ মেরুদন্ড পরীক্ষা গুলি প্রতিমাসে বাধ্যতামূলক হওয়ার কারণে ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ বহন করতে হচ্ছে অসহায় পিতা আব্দুল জলিলকে, এছাড়া ঔষধ তো আছেই।

যার আনুমানিক খরচ প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

অসহায় পিতা আব্দুল জলিল এখন তার সন্তানের চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছে না, তাই এমনতো অবস্থায় সন্তানকে বাচাঁনোর সুচিকিৎসার জন্য মনবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সহযোগিতার জন্যে সকলের কাছে। সমাজের বিত্তবান এগিয়ে এলে তার সন্তানকে বাঁচাতে পারবেন বলে আশাবাদী।

 

সাহায্যের আবেদনকারী:
আব্দুল জলিল মিয়া
গ্রাম:পূর্ব লালপুর
থানা:ফতুল্লা
মোবাইল:০১৭৯০৭০৮৭০৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দেশ প্রকাশ ©
Theme Customized By Shakil IT Park