নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় সরকারি প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত রাস্তা দখল করে শিল্প মালিকের দেওয়াল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (৪ মে) দুপুরে ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের এক হাজারের বেশি নারী-পুরুষ দৌলতপুর সেতু থেকে মিছিল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। এ সময় তারা অবিলম্বে দেওয়াল ভেঙে দিয়ে অত্র ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি উন্মুক্ত করার দাবি জানান।
এলাকাবাসী জানান- মুসাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর, পিছকামতাল, বালিগাঁও, বাজুরবাগ, বাড়পাড়া, বাঙ্গালবাড়ি ও নগরসহ দশ বারোটি গ্রামের প্রায় পনের হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন।
সবার চলাচলের সুবিধার জন্য ইউনিয়নবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু ও কালভার্ট প্রকল্পের অধীনে রাস্তাটির মধ্যবর্তী স্থানে পঁচিশ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ছোট সেতু নির্মাণ করে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। পাশাপাশি রাস্তাটিও প্রশস্তকরণসহ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত এক মাস আগে স্থানীয় বাশার পেপার মিলের মালিক বশির উদ্দিন তার জমির পাশে এ রাস্তাটি দখল করে প্রায় সত্তর ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি দেওয়াল নির্মাণ করেন। ফলে প্রশস্ত রাস্তাটি অত্যন্ত সরু হয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত এক মাস আগে স্থানীয় বাশার পেপার মিলের মালিক বশির উদ্দিন তার জমির পাশে এ রাস্তাটি দখল করে প্রায় সত্তর ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি দেওয়াল নির্মাণ করেন। ফলে প্রশস্ত রাস্তাটি অত্যন্ত সরু হয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তাদের দাবি, এ রাস্তা দিয়ে রিকশা, সিএনজি ও এম্বুলেন্সসহ কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে না পারায় রোগীদের যথাসময়ে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেও এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। দ্রুত দেওয়ালটি ভেঙে জনগণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
Leave a Reply