নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁ বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাওনকে (২৩) অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে জেলা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল। এর আগে, শুক্রবার (২ জুন) জেলার রূপগঞ্জের মাসাবো এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. শাওন রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মো. মোতাহার হোসেনের ছেলে।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এসআই মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, কিছু নামধারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদের দমন করতে আমরা কাজ করছি। গত দুইদিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলাগুলি হয়। এসময় বাবুর্চি বিল্লাল হাওলদার গুলিবিদ্ধ হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি আরও জানান, বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গত বুধবার তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আবু সুফিয়ানের নাম সোহান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় শুক্রবার শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শাওন গুলি করেছিল বলে স্বীকার করে।
মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে বরপা এলাকায় রিফাত নামে এক তরুণের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। পরে রিফাত ওই মাইক্রোবাস চালককে মারধর করেন। তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ প্রিন্স হোটেলে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। সেই বৈঠকে ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান সোহান রিফাতের পক্ষে অংশ নেয়। বৈঠকে বায়েজিদের সঙ্গে রিফাতের তর্কবিতর্ক হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তর্কের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারিতে তাদের অনুসারীরাও যুক্ত হয়। হোটেলটি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সোহান বায়জিদ সাউদকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে সেই গুলি বিল্লাল হোসেনের গায়ে লাগে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলাতেও আবু সুফিয়ান ওরফে সোহানের গুলি করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply