হৃদয় হোসাইন,পাবনা প্রতিবেদক:
বেড়া পাম্পিং স্টেশন থেকে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত বাঁধ কাম সড়ক পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর বেড়া পাম্পিং স্টেশন থেকে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত ৪.৭ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়ক পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে ছিল। সম্প্রতি সড়কটি পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সড়কটি নির্মাণ হলে বেড়া থেকে বাঘাবাড়ির দূরত্ব কমবে পাঁচ কিলোমিটার। সময় ও জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি বেড়া সিএনবি মোড় ও বাঘাবাড়ি তিনমাথা মোড়ে অসহনীয় যানজট থেকে মুক্তি পাবেন যাত্রীরা। বেড়া পাউবো সূত্রে জানা যায়,পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৮০ সালে বেড়া পাম্পিং স্টেশনের ভারী যন্ত্রপাতি আনা-নেয়া ও পরিদর্শনের জন্য একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ সড়কপথটি ছোট ছোট যানবাহন চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কের আশপাশ দখল করে বসতি গড়ে উঠেছে।অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলমান। সড়ক সংস্কারে বদলে যাবে গ্রামের দৃশ্যপট।উন্নয়ন হবে জীবনযাত্রার মান। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার বাড়বে বলে আশাবাদী সচেতন মহল। সূত্র জানায়, ৪.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের মেসার্স সালেহ অ্যান্ড মেসার্স বেলাল কনস্ট্রাকশন (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। স্থানীয় বাসিন্দা তুষার আহমেদ সাচ্চু বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। এটি পুনঃনির্মাণ করায় যাতায়াতে, কৃষি পণ্য পরিবহনে ও অসুস্থ মানুষকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে এখন সহজতর হবে। ট্রাক চালক আব্দুর রহমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কাজে আমাদের অনেক সময় বাঁচবে,জ্বালানি কম লাগবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, বাঘাবাড়ি রোডে অনেক যানজট হয়, সেটা লাঘব হবে এই বাইপাস সড়ক হলে। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাশেম বলেন, আশির দশকে বেড়া পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ ও পরিদর্শন রোড তৈরি করা হয়। ৩০ বছর পর সড়কটি নতুন করে নির্মাণ ও মেরামত করা হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, কাজের যথেষ্ট অগ্রগতি হচ্ছে। তবে পাউবো কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিল ছাড় দিলে আমাদের কাজের গতি আরো বাড়বে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, এডিপিভুক্ত প্রকল্পের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটি নির্মাণ ও মেরামত করার মূল উদ্দেশ্য ভারী যানবাহন ও যন্ত্রপাতি বেড়া পাম্প স্টেশনে আনা নেয়া করা। স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল সড়কটি পুনঃনির্মাণের। এটি নির্মাণের মাধ্যমে একদিকে সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে, অন্য দিকে এলাকাবাসীও এর সুফল পাবে।
Leave a Reply