সোনারগাঁ সংবাদদাতা:
আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে,সোনারগাঁ এর প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ট্যাব বিতরণে নয়-ছয় করার অভিযোগের পর বেড়িয়ে এলো শালা দুলাভাইয়ের শিক্ষার পরিবেশ পরিপন্থী কর্মকান্ডের অভিযোগ।
২০১৮ সালে ৫ জন পার্টনারের সমন্বয়ে শিক্ষার মান ও পরিবেশ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গড়ে উঠা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ সোনারগাঁওয়ে বর্তমানে আধিপত্য বিস্তার করে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন প্রিন্সিপালের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান ও তার শালা হাবিবুর রহমান।
অন্যান্য পার্টনারের মধ্যে অন্যতম আরেফিন পনির বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার মান ও পরিবেশ তৈরির কাজ করে আসছি। কিন্তু গত ৬ মাস যাবত আমি মিজানুর রহমান ও তার শ্যালক হাবিবুর রহমানের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় একক নৈরাজ্য কায়েম করতে আমাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে নানামুখী বাঁধা সৃষ্টি করছেন। একজন প্রিন্সিপাল একাই ১০ জন শিক্ষকের সমান বেতন নেন। তাছাড়া পরিবারতন্ত্র কায়েম করে নিজের আত্মীয়স্বজনদের কে চাকরি পাইয়ে তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করে অন্যদের কে বেতন ও বোনাস নিয়ে ছয়-নয় করে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ডাকতে দুটি ট্যাবের মধ্যে একটি ট্যাব একজন শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে দেন। জবাবদিহি ঠেকাতে অন্যান্য শিক্ষক ও স্টাফদের মিথ্যে অপবাদ হিসেবে ব্যাখ্যা দেন। সেই সাথে আমাকে নানা রকম অপবাদ দেন।
বর্তমান প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান স্বীয় ভগ্নিপতি হওয়া সত্ত্বেও,তার কৃতকর্মে বিরক্ত হয়ে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে চান বলে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ ঈদ হওয়া সত্ত্বেও মার্চ মাসের বেতন দেয়া হয়নি শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানের তহবিলে অর্থ নেই বলে।কিন্তু শালা,দুলাভাই ঠিক ই গাড়িভাড়া বাবদ ৭০,০০০ টাকা স্কুলের তহবিল থেকে উঠিয়ে নিয়েছেন।এদিকে সারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বছরের শুরুতে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্টের কথা বলে সারা বছর শিক্ষকদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করানোর পর,বর্তমানে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দিবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।অন্য কারো ইনক্রিমেন্ট না হলেও নিজের ইনক্রিমেন্ট ৫০% দিতে হবে বলে দাবী জানিয়েছেন তিনি।এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের শ্যালক হাবিবুর রহমান এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আইডিয়াল স্কুলের পার্টনার,এবং তৎকালীন ভাইস প্রিন্সিপাল আরেফিন পনির স্কুলের ই একজন শিক্ষিকার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পর তারা বিয়ে করে। এই বিষয়টি এলাকার মানুষ জানাজানি হলে আইডিয়াল স্কুল ব্যাপক সমালোচিত হয়। একজন শিক্ষক হিসেবে এমনটি পনির করবেন তা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। এতে আমরা বিব্রত। আমাদের প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে প্রতিষ্ঠানে আসার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
Leave a Reply