1. admin@dailygrambangla.com : admin :
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ে জাল নামজারি ও খাজনায় দলিল নিবন্ধনের অভিযোগ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানকে বিতর্কিত করতে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র! জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে রেজাউল করিমের নেতৃত্বে র‍্যালি সোনারগাঁয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন আড়াইহাজারে ১৫শ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ সোনারগাঁয়ে রাতের আধারে স্কুলের মালপত্র বিক্রির অভিযোগ, শিক্ষকসহ দুজন এলাকাবাসী হাতে আটক সোনারগাঁয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ ৪ বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ, বিএনপির দুই নেতা গ্রেপ্তার সোনারগাঁয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত জাতি সংকটে পড়লেই জনগণের ঐক্যই মুক্তির পথ দেখায়–আজারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহাররে দায়ে ৩টি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে

সোনারগাঁয়ে জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

  • আপডেট : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০০ বার পঠিত

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:

অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের রাস্তা ও বাড়ির আঙিনা। ফলে তাদের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে ওই এলাকার মানুষের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে মার্স ফিড নামে একটি কোম্পানির অপরিকল্পিত বালু ভরাট করে চারিদিকে ঘিরে ওই এলাকার পানি নদীতে নামতে না পাড়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এ জলাবদ্ধতায় পানিবন্ধী হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে ওই এলাকার লোকজন। এলাকাবাসী অবিলম্বে এর স্থায়ী নিরসন চায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে পাশে পশু খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘মার্স ফিড’ নামের একটি কোম্পানি গড়ে উঠে। এ কোম্পানি গড়ে উঠার পর থেকে এ এলাকার মানুষ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেই বসবাস করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কোম্পানির পশু খাদ্য তৈরির কাঁচামালের দূগর্ন্ধে এ এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও এ কোম্পানি অপরিকল্পিতভাবে বালু ভরাট করার ফলে এ এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। গত কয়েকদিনে অতি বৃষ্টির কারনে পানি জমে রাস্তা ও বাড়িঘর তলিয়ে গিয়ে এলাকার প্রায় ২ শতাধিক মানুষের ঘরে পানি ঢুকে যায়। ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়ে মানুষ।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পানি জমে আছে। অনেক ঘরে পানি ঢুকে তাদের আসবাবপত্র, কাপড় চোপড় নষ্ট হয়ে আছে। এমনকি রান্নাঘর ও বসবাসের ঘরেও হাটু সমান পানি উঠে গেছে। ওই এলাকার বাসিন্দরাও ঘরে উঠা নষ্ট পানিতে থালা বাটি ধৈত করছেন। ওই এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন। বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে ময়লা ও আবর্জনায় পরিনত হয়েছে ওই এলাকার প্রতিটি ঘরবাড়ির চারপাশ। সকলেই পানি দিয়ে হেঁটে প্রয়োজনীয় কাজে ও গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারনে পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পানির দুর্গন্ধে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ওই এলাকার  লোকজন। এলাকাবাসী তাদের কষ্টের পরিত্রাণ চায়।

সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল কালাম জানান, আমরা এ পানি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত অনেক কষ্টে আছি। বৃষ্টির সময় আসলে এ গ্রামের মানুষজন জলাবদ্ধতায় শিকার হই। কেউ আমাদের কষ্ট দেখছে না, এলাকায় যেন লোক নেই। চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ দেখে না। ভোটের সময় আসলেই তারা আসে।

সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের গৃহবধু পুজা রানী জানান, কোম্পানির বালু ভরাট করায় এ অঞ্চলের বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে না পারায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এ পানি ঘরে ঢুকে পড়েছে। ফলে আমাদের ঘরের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় মালপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে বালু ভরাট করলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না।

ওই গ্রামের বৃদ্ধ সামসুল ইসলাম জানান, এ কোম্পানি হওয়ার আগে আমাদের জলাবদ্ধতার কোন সমস্যা ছিল না। বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি মেঘনা নদীতে নেমে যেতো। বর্তমানে বালু ভরাট করায় আমাদের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমাদের রান্না বান্না, বাথরুমসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের বিসু সরকার, নিপা রানী সরকার জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঘরে পানি উঠে আমাদের খাবার দাবার, রান্না বান্না করা যাচ্ছে না। আমাদের না খেয়ে শিশুরা অনেক কষ্ট করছে।

মার্স ফিডের জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের জায়গা ভরাট করলে যদি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমাদের কিছুর করার থাকে না। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেন নির্মান করে দেয়া হবে।

বৈদ্যেরবাজারে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মটরের মাধ্যমে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশন কাজ শুরু করেছি। দ্রুত এর স্থায়ী নিরসন করা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। ডিসি মহোদয়কে নোট দেয়া হয়েছে। আমরা জলাবদ্ধতার নিরসনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দেশ প্রকাশ ©
Theme Customized By Shakil IT Park