খরাজালে অবরুদ্ধ অভয়াশ্রম মৎস্য প্রজনন হুমকিতে
হৃদয় হোসাইন বেড়া(পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার বেড়া উপজেলার কাগেশ্বরী নদীতে খরা ও ঠগা জালে অবরুদ্ধ অভয়াশ্রম দেশি মৎস্য প্রজনন হুমকিতে। মৎস্য অভয়াশ্রম হচ্ছে জলাশয়ের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সব ধরনের মাছের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও তাদের প্রজননের স্থান। মাছের উৎপাদন বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে তাদের জন্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা। মাছের এই উৎপাদন বাড়ার পেছনে কাজ করেছে অভয়াশ্রম গুলো।দেশি মাছের সার্বিক উৎপাদন আগের তুলনায় কমছে। অনেক মাছ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।বেড়া উপজেলায় দিন দিন অভয়াশ্রমের সংখ্যা কমছে।অপর দিকে চায়না দুয়ারি জালের কারণে দেশি মাছ বিপন্নর পথে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার কাগেশ্বরী নদীতে অভয়াশ্রমের প্রবেশ মুখে দুই পাশ অবরুদ্ধ করে একাধিক খরা,ঠগা বসিয়ে মাছ শিকার করছে স্থানীয় জেলেরা। নদীতে বাঁশ ও জাল ব্যাবহার করে স্রোত বাধা সৃষ্টি করে অবাধে মাছ শিকার করছেন।স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে।এভাবে মৎস্য অভয়াশ্রমের প্রবেশ মুখে জাল দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে খরা বসিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। যার ফলে হুমকিতে দেশি মাছ। যদি এই সময়টাতে মা মাছ অভয়াশ্রমে ঢুকতে না পারে তাহলে কিভাবে বংশবিস্তার করবে। তাই মনে করা হচ্ছে এই ভাবে নদীর দুই পাশ জাল দিয়ে আটকে রেখে মাছ আহরণ করা হলে হুমকির মুখে পড়বে প্রজনন।অতি দ্রুত উপজেলা প্রশাসনের এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করার জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায় জেলেদের একটি চক্র এর সাথে যুক্ত।জেলেরা বলেন,দীর্ঘদিন আমার এভাবে মাছ ধরছি কোনো সমস্যা হয় না।বর্ষার সময়ে নদীতে কোনো অভয়াশ্রম থাকে না। প্রতি বছর এখন থেকে মাছ ধরা হয়। আমার জেলেরা আইন কানুন এত বুঝিও না মানি না। এখানে মৎস্য কর্মকর্তা আসলে কিছুই করতে পারবেন না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন,আমার অভিযোগ পেয়েছি কাগেশ্বরী নদীতে বেশ কিছু জায়গায় খরা ঠগা জাল বসানো হয়েছে।নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে স্বল্প সময়ের মধ্যে মোবাইল কোড পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply