আলমগীর,কুমিল্লা:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ৪নং সুবিল ইউনিয়নের সুবিল গ্রামের সরকারি হাসপাতালে পারাপারের কালভার্ট যেনো এক মরণ ফাঁদ। যেকোন মুহুর্তে ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনার শীকার হতে পারে পথচারী সহ সেবা নিতে আসা রুগীরা। কালভার্ট নির্মাণের বয়স বেশিদিন না হলেও অবস্থা দেখে মনে হয় ৩ যুগেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। অথচ গেলো বছরের মাঝামাঝি কালভার্টটি নির্মাণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সুবিল ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সরকারি হাসপাতালে রোগী সহ পথচারীদের পারাপার এবং বর্ষা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত হয়েছিলো এই কালভার্টটি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা কালভার্টটি অল্প দিনের ব্যবধানেই হয়ে গেছে ব্যবহারের অনুপযোগী।
এলাকাবাসী জানান, কালভার্টের নেমপ্লেটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর অর্থায়নে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের আওতায় ২০১৮-১৯ বাস্তবায়ন সাল লেখা থাকলেও ২০২২ সালের মাঝামাঝি এসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিলো এই কালভার্টটির। নিম্ন মানের সামগ্রীর ব্যবহারে নির্মাণের ১ মাসের মধ্যেই ফাটল ধরে যায় কালভার্টটিতে। আমরা সুবিল ৮নং ওয়ার্ডবাসী এবং হাসপাতালে আসা রুগীরা প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হই। যেকোন সময় যে কেউ দূর্ঘটনার শীকার হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণের কিছু দিন চলাচলের পর কালভার্টটির কিছু কিছু অংশের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে আছে, ব্যস্ততম এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি কালভার্ট দ্রুত সংস্কার না করলে হুমকির সম্মুখীন হতে পারে ওই এলাকার পথচারী সহ হাসপাতালে আসা রুগীরা।
এক পথচারী জানান, সুবিল ৮নং ওয়ার্ডের হাজারো পথচারী আর হাসপাতালে আসা রুগীদের গুরুত্বপূর্ণ এই কালভার্ট খালের মধ্যে ধসে পরে দূর্ঘটনার শীকার হতে পারে যে কেউ। কালভার্টের এই ভগ্নদশা দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আকুল আবেদন জানাই যেনো দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে আমাদেরকে হতাশা মুক্ত করেন।
Leave a Reply