নাজমুল হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
চলমান দাপদাহ আর লোডশেডিং শুরু হওয়ার পর মাদারীপুর জেলায় বেশ রমরমাভাবেই বেড়ে চলছে চার্জার ফ্যানের বাজার।চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৯এপ্রিল) সরেজমিনে জেলার ডাসার উপজেলার ঘোষেরহাট,গোপালপুর সহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান কিনতে আসছেন বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষজন।
মার্কেটের অন্য যেকোনো দোকানের তুলনায় ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানে কিছুটা বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হয় মাঝেমধ্যে।আবার,দাম বেশি শুনে উল্টো দিকে হাটা দিচ্ছেন কেউ কেউ।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান, লাইট, মোবাইলে চার্জ দেয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংক কিনছেন তারা।অন্যদিকে,যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো এমন হাতে গোনা দুয়েকজন আবার কিনছেন আইপিএস।
সকালে মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রনিকসের এসব দোকানে ক্রেতাদের হালকা-পাতলা আনাগোনা দেখা গেছে।
চাহিদা থাকায় দাম বাড়ানোর বিষয়ে দোকানিদের ভাষ্য, আমদানিকারকরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় তারাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার ফজলগঞ্জ বাজারের ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী জয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমদানিকারকরা প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আগে পাঁচ কার্টন মাল চাইলে তাই দিত। আর এখন পাঁচ কার্টন মাল চাইলে দেয় এক কার্টন। বেশি দাম দিয়েও মাল পাওয়া যায় না। এ কারণে আমাদেরও মাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি জানান, চার্জার জাতীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা।
গত দুই সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম এক হাজার টাকা বেড়েছে। চায়নিজ একটা চার্জার ফ্যান ছয় মাস আগে ছিল ৩৫০০ টাকা, সেটি এখন ৪৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গোপালপুর হাটের খুচরা বিক্রেতা অহিদ।তার দোকানে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যের পণ্য রয়েছে।
আলাপকালে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে বেচাবিক্রি বেড়েছে। তবে দাম তেমন বাড়েনি। ইলেকট্রনিকস বড় পণ্যের দাম বাড়লেও ছোট ছোট পণ্যের দাম তেমনটা বাড়েনি।’
চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন সামিউল ইসলাম।তিনি বলেন, ‘যে গরম পড়ছে, তার মধ্যে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ঘরে থাকতে চার্জার ফ্যানের বিকল্প নেই। এ জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে আসছি। এই গরমে তো বেঁচে থাকতে হবে।’
উপজলার ডাসার ইউনিয়নের বাসিন্দা রিয়াজুল হাসান চার্জার লাইট ও ফ্যান কিনেছেন সেখান থেকে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন লোডশেডিং, তার মধ্যে অনেক গরম। ঘরে বাচ্চাদের খুব কষ্ট হয়। এ জন্য ফ্যান ও লাইট কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম একটু বেশি। তারপরও কিনতে হবে।’
আকারভেদে চার্জার ফ্যান ৭০০ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে সে মার্কেটে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের চার্জার লাইট হরেক রকমের দামে বিক্রি হচ্ছে।
গোপালপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা সৈকত বেপারী বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ঘরে ছোট বাচ্চা আছে।তাই বাজার থেকে একটি আইপিএস কিনতে এসেছি।আইপিএসে তিনটি ফ্যান ও তিনটি লাইট দুই ঘণ্টা সার্ভিস দেবে। লোডশেডিং আর গরমের যে অবস্থা,এ সময়টা এখন অন্তত এভাবে চালাতে হবে।’
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সোনারগাঁও শপিং কমপ্লেক্স ৪র্থ তলা, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ।
প্রকাশক
ও সম্পাদক: মোঃ ইমরান হোসেন
মোবাইল
: 01822219555
মেইল
: emranhossain9555gmail.com
বার্তা
সম্পাদক : মোঃ পারভেজ হোসেন
মোবাইল
: 01826178999
মেইল : parvezoks@gmail.com
Copyright © 2025 দেশ প্রকাশ. All rights reserved.