নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ইলিয়াছ মিয়া নামে একজন ব্যবসায়ীকে মাদক মামলা ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার স্বাক্ষী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর চাচাতো ভাই মো. ডালিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বন্দর থানার আন্দিরপাড় এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা ও প্রতিবাদের কারণে গত ২২ শে আগষ্ট বিকেল ৫টার দিকে সোনারগাঁ থানাধীন ওলিপুরা এলাকায় আমার সামনে থেকে একই এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে লাউসার এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে রুবেল (২৯), আন্দিরপাড় এলাকার মৃত নাজির হোসেনের ছেলে রাজিব (২২), একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইয়াছিন (২৪) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনে মিলে ইলিয়াছ (৩২) কে তুলে তুলে নিতে চাইলে আমি বাঁধা দেই। তখন তারা আমাকে মারধর করে ইলিয়াছকে গাড়িতে করে নিয়ে চলে আসে। পরবর্তীতে জানতে পারি ইলিয়াছকে লাউসার এলাকায় মেরে তার পকেটে ৫ শত পিছ ইয়াবা দিয়ে ধামগড় ফাঁড়ীর পুলিশের কাছে তুলে দেয় সোহেল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। মূলত সোহেল ও রাজিব হচ্ছে মাদক বিক্রেতাদের সরদার। ইলিয়াছকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।
এলাকাবাসী জানান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেলকে অবৈধ অস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ গতকাল র্যা ব-১১ এর একটি দল গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। সোহেল ও রুবেল আন্দিরপাড় ও আশেপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এলাকাবাসী সোহেল ও তার সন্ত্রাস বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ইলিয়াছ মাদকের সঙ্গে জড়িত নন, তবুও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে ষড়যন্ত্রমূলক ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।
অন্যদিকে ইলিয়াছের স্ত্রী রানী আক্তার বলেন, আমার স্বামী সিগারেট পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখে না, মাদক ব্যবসা তো দূরের কথা। সোহেলের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। তদন্ত পূর্বক সোহেল, রাজিব সহ অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসিম হাবিব জানান, ঘটনার দিন আমি অন্যত্র ডিউটিতে ছিলাম। মামলার ব্যাপারে ওসি স্যার আর আমার ফাঁড়ির যে এসআই আসামী ধরে আনছে সেই আমিনুর রহমান আমান জানেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সার্কেল (খ) পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানলাম, আপনি বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ কে বিষয়টি অবহিত করুন। তিনি প্রয়োজনীয় তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আন্দিরপাড় এলাকায় ৫ শত পিছ ইয়াবাসহ ইলিয়াছকে গ্রেফতারের ঘটনায় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুরো ঘটনা শুনে একাধিকবার সাংবাদিকদের ফোন কেটে দেন।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সোনারগাঁও শপিং কমপ্লেক্স ৪র্থ তলা, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ।
প্রকাশক
ও সম্পাদক: মোঃ ইমরান হোসেন
মোবাইল
: 01822219555
মেইল
: emranhossain9555gmail.com
বার্তা
সম্পাদক : মোঃ পারভেজ হোসেন
মোবাইল
: 01826178999
মেইল : parvezoks@gmail.com
Copyright © 2025 দেশ প্রকাশ. All rights reserved.