নিউজ ডেস্ক:

জনগণের সরকার গঠন করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, ১৯৯০ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় পার্টির প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ করেনি। নির্বাচন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কারচুপির অভিযোগ এনেছে। ৯৬-এর নির্বাচনে বিএনপিও একই অভিযোগ তুলেছিল। পরবর্তী কোনো নির্বাচনের অভিজ্ঞতাই ভালো না। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি।

শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের জান্নাতবাগ মাঠে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুন্নু এসব কথা বলেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটে জনদুর্ভোগ চরমে। সরকার দাবি করছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যাপ্ত। তাহলে বিদ্যুৎ যায় কোথায়? তিনি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কুইক রেন্টাল ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ খাতের মাধ্যমে সরকার নিজস্ব লোকজনদের প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। আবার নয় শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে পাচার করা টাকার বৈধতা দিয়ে দুর্নীতিবাজ টাকা পাচারকারীদের উৎসাহিত করছে।’

চুন্নু বলেন, বিএনপিও চারবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। একমাত্র জাতীয় পার্টি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে দেশের পাঁচ কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। তাই আবারও জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে মানুষের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

২৯ নম্বর ওয়ার্ড জাপার আহ্বায়ক মো. ফুল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হাসনাত আহমেদ জুয়েল, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক এ এন এম রফিকুল আলম সেলিম, সদস্য সচিব এস এম হাসেম, জাতীয় ছাত্র সমাজের উত্তরের সদস্য সচিব মো. মোস্তফা সুমন প্রমুখ।

সম্মেলনে ফুল হোসেনকে সভাপতি ও আব্দুল ইউসুফ জনিকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর উত্তরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির কমিটি ঘোষণা করা হয়।