1. admin@dailygrambangla.com : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেড়া পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূল্যে পানি বিতরণ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নজরুলকে দেখতে চায় বেড়াবাসী বেড়া পৌর ক্রীড়া উন্নয়ন সংস্থার উদ্যােগে ১১টি ক্লাবের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দয়াল নগর বাহারুন্নেসা পাবলিক লাইব্রেরীরতে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্প বেড়ায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আমতলীতে হাওয়া বিবি নাইট শ্যাডো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় রাস্তা নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ডেপুটি স্পিকার ডেমরায় অবৈধ মেলার আয়োজন সাঁথিয়ায় রাস্তা উন্নয়ন ও ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ডেপুটি স্পিকার সোনারগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের নতুন কমিটির অনুমোদন

মেঘনায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই মোবাইলের আলোতে চিকিৎসা

  • আপডেট : শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২
  • ১২৩ বার পঠিত

ইব্রাহিম খলিল মোল্লা,

নেই জেনােরটর’র ব্যবস্থা, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সৌরবিদ্যুৎও রাখা উচিৎ ছিলো কিন্তু সেটিও নেই। তাই দিবারাত্রি বিদ্যুৎ চলে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ও সেবিকারা চিকিৎসার কাজ চালান মোবাইল ফোন আর টর্চলাইটের আলো দিয়ে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় দিবারাত্রি লোডশেডিং হলেই পুরো হাসপাতালটি ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। দিনের বেলা বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে অস্থির হয়ে পরতে হয় ভর্তিকৃত রোগিদের। আবার রাতের বেলায় অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে থাকতে হয়।

এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাসপাতালের কর্মচারী সহ ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের। দীর্ঘদিন থেকেই এমন অবস্থা চলে আসছে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

তবে রোগীর আত্নীয়-স্বজনরা মোবাইল অথবা টর্চ লাইটের আলো ব্যবহার করে থাকেন। আর দায়িত্বরত সেবিকা ও চিকিৎসকরা মোবাইলের আলো দিয়ে কাজ চালিয়ে নেন।

একটি দৈনিক পত্রিকার সূত্রমতে, গত ২১/০৬/২০২২ইং দুপুর ১২ ঘটিকার সময় পাঁচজন প্রসূতি রোগীর সিজার/নরমাল ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরই মধ্যে তিনজন সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। তবে আনুমানিক দুপুর ১২টা থেকে ১ ঘটিকার সময় বিদ্যুৎ চলে যায় কিন্তু সার্বক্ষণিক জেনারেটর থাকা সত্বেও বন্ধ হয়ে আছে জেনারেটরটি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে ভর্তিকৃত রোগী ও স্বজনদের।

ঐদিকে অপারেশন থিয়েটারে চলছে ডেলিভারির কাজ। অন্যদিকে রোগীর সাথে আসা অপেক্ষমাণ স্বজনরা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে আছে। ভোগান্তির শেষে প্রায় ৩০ মিনিট পর বিদ্যুৎ আসে।

রোগীর স্বজনরা জনায়, হাসপাতালের সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু কোনো জেনারেটর বা বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা আমাদের নবজাতক শিশু ও তার মাকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি যেন বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। তা নাহলে অসুস্থ রোগীদের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে একই দিনে সকাল ১০ ঘটিকার সময় হাসপাতালে আগত প্রায় ৭০-৮০ জন মহিলাদের দেখা যায়। তারা জন্মনিরোধক ব্যবস্থা নিতে আসা এবং অপারেশন থিয়েটারের সামনে অপেক্ষমাণ। ভিতরে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় মোবাইল ও টর্চ লাইটের আলো দিয়ে অন্ধকার কক্ষে চালাচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালে আলোর জন্য বিকল্প হিসেবে জেনারেটর ব্যবহার করা যেতো। আমাদের নতুন জেনারেটর আছে কিন্তু জ্বালানী তেলের বরাদ্দ নগন্য হওয়ায় আমরা জরুরি মূহুর্তে জেনারেটরটি চালু রাখতে পারছি না। তাই অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে রোগীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দেশ প্রকাশ ©
Theme Customized By Shakil IT Park